বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের রাখালগাছিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা কে এই মহিলা (৫৫)। থানা পুলিশ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে রাখালগাছি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাখালগাছি গ্রামের গ্রাম পুলিশ; এলাকার আরও কয়েকজনের সহায়তায় অজ্ঞাত ওই মহিলাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমানের সাথে পরামর্শ করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাবকে লাশ দাফন কাফন করার জন্য অনুরোধ করেন।

পরে ঘোষপুর ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জামাল হোসেন এবং বোয়ালমারীর সমাজ কর্মী সুমন রাফীর সহায়তায় পুলিশের উপস্থিতিতে রাত সোয়া ১২টায় রাখালগাছি ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে রাখালগাছি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. মাহাবুব মোল্যা বলেন, সকাল থেকে রাখালগাছি মাদ্রাসার সামনে মহিলাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। পরে সন্ধ্যার দিকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকার কয়েকজনের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।

পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেম্বার মো. জামাল হোসেন মোল্যা বলেন, ৫০-৫৫ বছরের ওই মহিলাকে হঠাৎ কিছু দিন এই এলাকায় দেখা যায়। নওয়াপাড়া বাজার থেকে রাখালগাছি মাদ্রাসা পর্যন্ত সে হাটাচলা করতো। হয়তো মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল কিন্তু কখনও তাকে পাগলামী করতে বা উত্তেজিত হতে দেখিনি।

খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল মহিলা। এলাকার কেউ তাকে চেনেনা। পুলিশের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী লাশ দাফন করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান জানান, যেহেতু স্বাভাবিক মৃত্যু তাই চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, মহিলার যেহেতু স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে।

কোন অস্বাভাবিক মৃত্যুও নয় এবং সুরতহাল রিপোর্টে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তাই লাশের সৎকার করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহিলার পরিচয় উদ্ধার করার চেষ্টাও অব্যাহত রাখবে পুলিশ।